আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে থেকেই বিভিন্ন কারণে-অকারণে সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবার। শনিবার জার্মানির হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের শেষ দিনে ট্রাম্পকন্যা ইভাংকা ঘটালেন এক কাণ্ড।
সম্মেলনে একটি বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মতো বিশ্বনেতাদের পাশে বাবার চেয়ারে বসেন ইভাংকা।
এ নিয়ে আবারো সমালোচনায় পড়তে হয়েছে ট্রাম্প পরিবারকে।
এর আগেও বারবার স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট হবার পর হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন পদে নিজের ঘনিষ্ঠদের বসিয়েছেন। তবে এবার কেবল ঘনিষ্ঠ পদ নয়, জি-টোয়েন্টি বৈঠকের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে খোদ প্রেসিডেন্টের চেয়ার অলঙ্কৃত করে বসলেন ট্রাম্প-কন্যা ইভাংকা।
জি-টোয়েন্টি বৈঠক চলাকালীন নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে ইভাংকা সোজা এসে প্রধান চেয়ারে বসে পড়েন। যেখানে বিশ্বনেতারা বসেছিলেন। সে সময়ে কোনো কারণে ওই চেয়ার ছেড়ে উঠেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে মুহূর্তেই ট্রাম্পের আসন দখল করে বসে পড়েন ইভাংকা। অবশ্য তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এসে ব্রিটেন ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশে নিজের স্থান পুনর্দখল করেন ট্রাম্প।
ইভাংকার সে ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অবশ্য সাফাই গাওয়া হয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন ৩৫ বছরের ইভাংকা ট্রাম্প।
সেই পদমর্যাদাতেই ওই আসনে বসেছিলেন ইভাংকা। তবে সরকারি নিয়ম বলছে, কোনো রাষ্ট্রনেতার অনুপস্থিতিতে ওই চেয়ারে বসার কথা কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারই।
টুইটারে সমালোচকরা লিখেছেন ‘একজন অনির্বাচিত, অযোগ্য, অপ্রস্তুত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাকেই তাহলে আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেয়া হলো।’
আরেকজন লেখেন, ইভাংকা নির্বাচিত কোনো নেতা নন। এ ধরনের একটি কূটনৈতিক বৈঠকে ইভাংকার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।
ওই বৈঠকে আফ্রিকার অভিবাসন ও স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা চলছিল এবং সেই আলোচনাতেও ইভাংকা তেমনভাবে অংশও নেননি।
ওয়াই/সি